মেদ কমানোর উপায়
আস সালামু আলাইকুম। প্রত্যেকটা মানুষের অনেক সমস্যা থাকে, অনেকেই আবার সেই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেন। এই ধরনের একটি সমস্যার সমাধান নিয়ে এবারের পোস্ট। আর সেই সমস্যাটি হল মানুষের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমলে অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেকেই ওজন কমানোর কোনো চেষ্টারই কমতি করেন না। আবার অনেকেই স্মার্ট হতে চান মানে স্লিম হতে
চান কিন্তু পারছেন না। বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকেই আছেন মহা দুশ্চিন্তায়৷ আর এই
মেদ কমাতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে নতুন সমস্যাও ডেকে আনেন কেউ কেউ৷ এই মেদ সমস্যা
সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে অনেক পোস্ট পাবেন। অনেক লেখা পাবেন পত্র-পত্রিকাতে। অনেকেই
অনেক ধরনের সাজেশন প্রদান করেন কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবাই এড়িয়ে যান।
যেটা কেউ মনেই করেন না। চলুন এ বিষয়ে আমরা কিছু কথা বলিঃ-
মনে রাখবেন!!
প্রথমেই
একটা কথা বলে
রাখি যে, মেদ
কমানোর জন্য এমন
কোন যাদু-মন্ত্র
আমার জানা নাই
যে, সেই মন্ত
পাঠ করলেই মেদ
কমে যাবে। একটা কথা বলে রাখি, আপনার মেদ বা অতিরিক্ত চর্বি, আপনার শরীরে কিন্তু একদিনেই জমেনি, আস্তে আস্তে জন্মেছে। এখন যৌক্তিক দিক থেকেও এবং বাস্তবতার আলোকেও এই মেদ বা চর্বি একদিনে কমবে না। ইহা কমানোর জন্য আপনাকে কঠোর সাধনা করতে হবে। আর
এই কথাটি সকলেই
ভুলে যান। সকলেই
বলে থাকেন যে
অনেক কিছুই তো
করলাম কিন্ত কিছুই
তো হল না।
ভাই হবে কিন্ত
আপনাকে কঠোর সাধনা
করতে হবে। কিভাবে
সাধনা করবেন এ
ব্যাপারে কিছু পরামর্শ
দেয়া হল আপনার
কাছে যুক্তিযোগ্য মনে
হলে আপনি অনুশিলন
করে দেখতে পারেন।
মেদ সমস্যা সমাধানের উপায়ঃ
১. সবাই
একটা পরামর্শ দেয়
তা হল-খাবার
খাওয়া কমিয়ে দিতে
হবে। এটা সত্যি
যে খাবার খাওয়া
কমিয়ে দিতে হবে
কিন্ত তাই বলে
একেবারেই খাবার পরিমান
কমিয়ে দেওয়া যাবেনা।
তা হলে আবার
হিতেবিপরিত হওয়ার সম্ভাবনা
আছে।
আদর্শ উপায়
হল,
আস্তে আস্তে খানার
পরিমান কমিয়ে আনতে
হবে অর্থাৎ ইসলামিক
নিয়মে খানা খেতে
হবে। ইসলামিক নিয়মটি
হল পেটের একতৃতিয়াংশ
খাবার এবং এক
তৃতিয়াংশ পানি এবং
একতৃতিয়াংশ খালি থাকবে।
এভাবে খাবারের অভ্যাস
গড়ে তুলুন।
২.প্রতিদিন
সকাল ও সন্ধ্যায় ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে
মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, । আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম
বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই।
৩.পর্যাপ্ত পরিমানে শশা খান।
প্রচুর পানি পান করুন |
৪. পর্যাপ্ত
পরিমানে পানি পান
করুন। পানি পান না করে তো বাঁচা যায় না, কিন্তু পানি যে ওজন-ও কমায়, এটা হয়তো অনেকেই জানে না। এখন দিনে আপনি যতটা পানি পান করেন তার
চেয়ে প্রতিদিন দেড় লিটার পানি বেশি পান করুন।
৫. ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
৬. প্রতিদিন
একঘন্টা করে ব্যয়াম
তথা হাটাহাটি, দৌড়ানো,
যুগব্যায়াম ইত্যাদি কর্ম
করুন। তবে মনে
রাখবেন প্রথম দিনেই
একঘন্টা করারর দরকার
নেই। মনে করেন
যে ১৫ মিনিট
হতে শুরু করলেন
আস্তে আস্তে একঘন্টা
পর্যন্ত বৃদ্ধি করলেন।
উপরুক্ত কাজগুলো নিয়মিত করুন।
একদিন করলেন আবার বাদ দিয়ে দিলেন তাহলে কিন্তু হবে না। আমি আগেই বলেছি যে মেদ যেমন
একদিনে হয়নি তাই এটা একদিনে কমবে না।
এছাড়াও
আরোও অনেক টিপস
আছে যেগুলো আপনি
পত্র-পত্রিকায় বা
বিভিন্ন blog-এ দেখতে পাবেন
সেগুলোর মধ্য হতে
কয়েকটি আপনাদের সাথে
শেয়ার করছি, কিন্তু
এগুলোর ব্যাপারে আমি
বলতে পারি না
যে এগুলো কি
সত্যিই নিরাপদ? এগুলো
কি বিজ্ঞান সম্মত?
এগুলো কি কাজ
করে?
এগুলোর কি কোন
পার্শ্বপতিক্রিয়া নেই?
আসলেই আমি জানি
না তাই আর
সেগুলো বললামও না।
সঠিক নিয়মে খাওয়া আর শরীর চর্চাই
হলো মেদ কমানোর আদর্শ নিয়ম।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment